“তুফান আল-আকসা যুদ্ধের ঐতিহাসিক ৪৭১ দিন পার হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে দখলদারিত্বের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। আমাদের জনগণের যে মহান ত্যাগ ও রক্তদান, তা কখনও বৃথা যাবে না। তারা স্বাধীনতা ও পবিত্র ভূমি রক্ষার জন্য অভূতপূর্ব ত্যাগ স্বীকার করেছে এই ৪৭১ দিনে।
এই তুফান গাজার সীমান্ত থেকে শুরু হলেও এটি পুরো অঞ্চলের চেহারা বদলে দিয়েছে এবং লড়াইয়ের নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধ নতুন যুদ্ধক্ষেত্র খুলে দিয়েছে এবং দখলদার শক্তিকে আন্তর্জাতিক মিত্রদের কাছে সাহায্যের জন্য ছুটতে বাধ্য করেছে।
তুফান আল-আকসা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে যে, এই দখলদারিত্ব একটি বড় মিথ্যা এবং এর প্রভাব পুরো অঞ্চলে পড়বে।
আমরা গাজার প্রতিটি জায়গায় প্রতিরোধের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর সাথে এক হয়ে শত্রুকে প্রাণঘাতী আঘাত করেছি। আমাদের মুজাহিদরা অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছে, এমনকি অসম্ভব পরিস্থিতিতেও লড়ে গেছেন অবিচল।
আমরা একটি অসম যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি, যেখানে যুদ্ধের সক্ষমতা ও নৈতিকতার দিক থেকে শত্রুর সাথে আমাদের তুলনা করা যায় না। যখন আমরা শত্রু বাহিনীর ওপর আঘাত হেনেছি, তখন তারা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে নির্মমতা ও বর্বরতার নতুন রূপ দেখিয়েছে।
এই যুদ্ধের মহত্ত্ব প্রমাণ হয়েছে আমাদের নেতাদের শহিদি কাফেলায় যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে, যাদের মধ্যে রয়েছেন হানিয়া, আরউরি ও সিনওয়ার।
এই অঞ্চলে দখলদার রাষ্ট্রকে একীভূত করার সব প্রচেষ্টা তুফান আল-আকসার চেতনা এবং স্বাধীন মানুষের প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হবে। এই অপরাধী শত্রু এই অঞ্চলের সকল দুর্ভোগের মূল এবং তাকে দমন করার জন্য সব প্রচেষ্টায় জোর দিতে হবে।
এখন আমাদের পশ্চিম তীরের জনগণের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে এবং আমরা বিশেষভাবে সালাম জানাই গাজা শহরের মতো সাহসী ও অটল জেনিনকে।
আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য শুরু থেকেই একটি চুক্তি সম্পাদন ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। আমরা ও অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার অঙ্গীকার করছি, তবে তা শত্রুর প্রতিশ্রুতি পূরণের ওপর নির্ভরশীল। আমরা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা শত্রুকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করে।
আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই লড়াইয়ে আমাদের সহযোগী হিজবুল্লাহর ভাইদের, যারা আমাদের যুদ্ধে বড় মূল্য দিয়েছেন। আমরা ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ইরাক এবং আমাদের জর্ডানের ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা সীমান্তের ওপারে দখলদারের মুখোমুখি হয়েছেন।
আমরা আমাদের আরব ও মুসলিম বিশ্বের লক্ষ লক্ষ সমর্থন বার্তা পাচ্ছি। জানি যে, আমরা তাদেরই অংশ, আর তারা আমাদের।”