এছাড়াও ‘ফ্যাসিবাদ-সংবিধান-নারী উপদেষ্টা’ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে- বেগম খালেদা জিয়ার দেশের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব, আবু সাঈদের স্মরণে উন্নত মম শির শিল্পকর্ম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্তর্বতীকালীন সরকারের নারী উপদেষ্টার সংখ্যা, ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের ফলাফল নিয়ে অনুবাদ, বৈষম্যবিরোধী সম্পর্কিত বিষয়াদি স্থান পেয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশব্যাপী ৮টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১ লাখ ২৫,৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন এবং প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষার বাংলা বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) অংশে এসেছে, ‘‘বৈষম্যবিরোধী- শব্দটি যে সমাসে নিষ্পন্ন’’, সাধারণ জ্ঞান অংশে এসেছে- ‘‘ঢাকা শহরের প্রথম ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন কে? যার উত্তর হবে খালেদা জিয়া; এটি ২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি উদ্বোধন করেন।
আরও প্রশ্ন এসেছে- ‘‘তিন শূন্যের অন্তর্ভূক্ত নয় কোনটি? যা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস থ্রি জিরো তত্ত্ব সম্পর্কিত; এখানে তিন শূন্য হলো শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নেট কার্বন নির্গমন।
আরেকটি প্রশ্নে হলো- ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আবু সাঈদকে নিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্মের নাম কী? যার উত্তর হলো উন্নত মম শির, বিশিষ্ট শিল্পী শহিদ কবির এটি অঙ্কন করেন।
সাধারণ জ্ঞান অংশে আরেকটি প্রশ্ন এসেছে- বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে? যার উত্তর হলো পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয় যা সম্প্রতি পুনর্বহাল করেছে হাইকোর্ট।
এছাড়াও এমসিকিউ অংশে এসেছে “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন নারী রয়েছেন ও ২৫ তম প্রধান বিচারপতি কে?” উত্তর হলো ৩ জন নারী উপদেষ্টা ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
লিখিত অংশে ৫ আগস্টের শেখ হাসিনার পতনের বর্ণনা নিয়ে একটি ইংরেজি অনুচ্ছেদ বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়। এতে ইংরেজিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘শেষ বিকেলে, ঢাকার সড়কে মানুষের ঢল নামে; তারা ছিলেন উৎফুল্ল। কেউ পরিবারের সঙ্গে; কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। তারা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং স্বৈরশাসককে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এটি ছিল ছাত্রদের বিজয়, জনগণের বিজয়! দীর্ঘ সময় পর ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে জনগণ উল্লসিত।’’
এদিকে ঢাবির উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনা হয়েছে। আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা রেখে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে।”