এ ছাড়া সমন্বয়কদের হাতে আটক ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ থেকে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সময় ক্যাম্পাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
হামলায় জসিম উদ্দিন ও ওমর শরীফ নামে দুই সমন্বয়ক আহত হন বলে দাবি করা হচ্ছে।
এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুই সংবাদমাধ্যম কর্মী আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাসেল হোসেন ও সাংবাদিক আতিক ফয়সাল।
জসিম উদ্দিনের ভাষ্য, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী সোহাগ ৫ অগাস্টের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে আধিপত্য দেখাতেন। শনিবার সোহাগ পরীক্ষা দিতে এলে সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন।

পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে সোহাগকে ছিনিয়ে নেন।
এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষে স্লোগান দিতেও শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
পরে ছাত্রলীগ ও সমন্বয়কদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকালের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
এ ঘটনার নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়ে সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন বলেন, “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি।”
হামলায় আহত ওমর শরীফ বলেন, “ছাত্রলীগের সোহাগকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার সময় আমার ওপর হামলা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব বলেন, তিনি সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে রয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফোনে ঘটনা শুনেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, “ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ক্যাম্পাসের মধ্যে যায়নি। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”