এম.জে.এফ নিউজ-28 জানুয়ারি
আবুল হাসান আজ কয়েকবার আত্মহত্যার কথা ভেবে ও ফিরে এসেছে।
আত্মহত্যা মহাপাপ জঘন্য কারবার তবে সে আত্মহত্যা করে আরো একটি জঘন্য অপরাধ থেকে বাঁচতে চায়।
দেখতে ভালো লাগে কিন্তু মাস্টারবেশনের পর মনে হয় করলাম কি?
আশেপাশের কাউকে শেয়ার করে মনের ব্যাথা লাঘব করতে চায় কিন্তু বলবে কিভাবে এ যে সিক্রেট বিষয়।
যারা এই নগ্ন সিনেমা বানায় তাদেরকে অভিশাপ কম দেয় নি এ যাবতকালে কিন্তু শয়তানের প্রলয়ংকরী তান্ডবে তাদের বানানো পঁচা বস্তুতে সব তৃপ্তি খুঁজে পায় আবুল হাসান।
একদিন হিম্মত করে ক্লাসমেট রিপনকে আমতা আমতা বলে আমি বাঁচতে চাই।
তুই তো বেঁচেই আছিস রিপনের সাদামাটা জবাব।
:এই বাঁচা নয় বাঁচার মতো বাঁচতে চাই।
:বাঁচ, কে তোকে নিষেধ করেছে!
সঙ্গীহীন আবুল হাসান আবারো চিন্তার সাগরে ডুব দেয়।
:আপন মনে কি ভাবছিস দোস্ত?
বললাম না বা়ঁচতে চাই।
:খুলে বল।
:আমি এক কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত সেখান থেকে মুক্তি চাই।
:আপন মনে করলে বলতে পারিস বন্ধু হিসেবে আমি তোকে সর্বোতভাবে সাহায্য করব।
আমি রোজ রোজ পর্নো দেখি মাস্টারবেশন করি কিন্তু পরক্ষণেই মরে যেতে মন চায়, নিজেকে জগতের টপ লেভেলের পাপী মনে হয়। সাহস করে কাউকে বলতেও পারি না আবার সইতে ও পারি না। এ কেমন আযাব! এ কেমন শাস্তি বন্ধু?
কয়েকটা ফোন ভেঙে ফেললাম কিন্তু নেশা আমার পাছ ছাড়ে না। মাঝে মাঝে জাহান্নামের ভয়,কবরের শাস্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন বয়ান শুনি, কুরআন তেলাওয়াত শুনি, অনুশোচনা বেড়ে যায় কিন্তু যখন নেশা চেপে ধরে তখন পর্নো না দেখলে মাথা ঘুরে নিজেকে ধরে রাখতে পারি না, অদ্ভুত এক নেশা আমায় ছিঁড়ে ফেড়ে খাচ্ছে বন্ধু!
মরে যেতে মন চায় আবার ভয় ও লাগে।
আবুল হাসানের অযাচিত অঙ্গভঙ্গি আর কান্নায় ক্লাস রুম জেগে উঠল।
রিপন আর হাসানের ঝগড়া থামাতে কেউ কেউ ছুটে ও এলো কিন্তু না এটা ঝগড়া নয় অনুশোচনার ক্লাস চলছে দুই বন্ধুর মাঝে।
রিপন এতক্ষণে আকাশ থেকে না পড়লেও চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে নিশ্চয়ই।
কারণ সে ও এ পথের পথিক। লজ্জার ভয়ে বলতে ও পারছে না আবার বিবেকের তাড়নায় অভিনয় ও করতে পারছে না
সে ও যে বাঁচতে চায়!