গতকাল রামপুরা যাচ্ছিলাম। প্রচন্ড জ্যামে অলস বসে আছি। এ ছাড়া উপায় কি। কিতাবাদি থাকলে সময়টা মূল্যবান করা যেত– খানিকটা আফসোস জাগে। ইতি-উতি করছি।
অগ্রবর্তী বাসটিতে অনেক সহযাত্রীর মত আমারও চোখ আটকে গেল।
বাসটিতে উচ্চ ভলিউমের গানের তালে তালে তরুণ-কিশোরদের হৈ-হুল্লোড় নাচানাচি চলছে। শহুরে জীবনের নিরিবিলি নাগরিকদের প্রথমে কৌতূহলী করলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিরক্তির উদ্রেক বাড়াচ্ছে শুধু।
ইউনিফর্ম দেখে ছেলেদের পরিচয় শনাক্ত করতে বেগ পেতে হল না– ছাত্র ছাত্রীদের বনভোজনের বাস। বাসে সাঁটানো ব্যানারে লেখাঃ বোর্ড বাজার হাইস্কুল।
তরুণ-কিশোর ছাত্রদের বেহিসাবি লাগামহীন কর্মকাণ্ডে অনেকে বিরক্ত বোধ করছেন।
২
এই যে তরুণ কিশোর যারা ছিল বিনয় নম্রতার প্রতীক। লাজ লজ্জা ছিল তাদের যুগ যুগের সঞ্চিত ধন। আজ তাদের এমন বিগড়ে যেতে দেখে আফসোস হয়।
কল্পনার জগতে গিয়ে শিউরে উঠছি; ভবিষ্যৎ এই সভ্য জনপদের কি হবে? চোখের পলকে এভাবে ধুলিস্মাৎ হবে আমাদের ছত্রিশের প্রজন্মে। আদম সন্তান এভাবেই অধঃপতিত হবে। ইয়া আসাফা !
ভয়ে কুঁকড়ে যাই এই ভেবে– গান-বাজনা, অশ্লীলতা আর নৃত্য নিয়ে যে প্রজন্মের উত্থান তা দিয়ে তওহিদের জমিনে রহমতের বারি বর্ষণ হবে না। এই জমিন যাবে ঘুটঘুটে অন্ধকারের পেটে। আকাশ সংস্কৃতি বা অনলাইনের মুক্ত দুনিয়ার নিত্য নতুন ময়লা আবর্জনার ঢেউয়ে
এভাবেই ভেসে যাবে ?
৩
সমাজের যারা নীতি ও আদর্শ ব্যক্তিগণ আছেন, দয়া করে তরুণ প্রজন্ম নিয়ে দু মিনিট ভাবুন,কাছে টানুন, সদুপদেশ দিন।
জাহেলি যুগে এসে যদি পেয়ারা নবী আলো জ্বালতে পারেন, অসভ্য নগরীতে সভ্যতার ভীত গড়তে পারেন তাহলে তাঁর উম্মত সবটা না পারলেও কিছুটা তো পারবে।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সহায় হয়ে যান।