খুব সহজ অথচ অত্যন্ত বিচ্ছিরি ও জঘন্য একটা গুনাহ হলো চোখের গুনাহ। স্বচ্ছ সুন্দর ও নির্মল একটা কলবকে ধীরে ধীরে অন্ধকার, কলুষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত কলবে পরিণত করে।
এই গুনাহ করার জন্য পোষাক পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে না। কেউ জানতেও পারেনা লোকটা কতটা নর্দমায় ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সে ব্যক্তি ঠিকই অনুধাবন করতে পারে যে, সে গুনাহের অতল গহব্বরে এমনভাবে হারিয়ে যাচ্ছে যেখান থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব।
এ গুনাহের তাছির বা প্রভাব এতটা মন্দ যে, ইবাদতের স্বাদ নষ্ট করে বান্দাকে ধীরে ধীরে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। দূর্বল ঈমানদার এ গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারে। এর থেকে মুক্ত থাকার জন্য চাই মাবুদের সাথে শক্তিশালী তাআল্লুক।
পূর্বে গত হওয়া কোন এক আলেম বলেছেন; আমি একটা গুনাহ করলাম, তার ফলস্বরূপ এক বছর কিয়ামুল লাইল থেকে বঞ্চিত রইলাম।
অপর একজন বুজুর্গ বলেন, আমি একটা গুনাহ করলাম, তার ফলস্বরূপ কুরআন অনুধাবন থেকে মাহরুম হলাম।
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন বান্দা যখন একটা গুনাহ করে তখন তার থেকে তার গুনাহ অনুযায়ী একটা নেয়ামত চলে যায়। অতঃপর সে তাওবা করে ফিরে আসলে তা ফিরে আসে অথবা অনুরূপ আরেকটা ফিরে আসে।
এখন চিন্তা করে দেখুন, আমাদের গুনাহের পরিমাণ, আর নেয়ামত হারানোর পরিমাণ।
যে চোখের গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারে সেই কেবল ইবাদতের পরিপূর্ণ স্বাদ পায় এবং ধীরে ধীরে মাবুদের সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ় হতে থাকে। এভাবে সে একজন ওলীয়ে কামেল হিসেবে দফতরে নাম লিখাতে পারে।
মাওলা, আমাদের চক্ষুকে তোমার জন্য আলোকিত সুন্দর ও নির্মল বানিয়ে দাও। এ নাপাক চোখ তোমাকে দেখার জন্য পাক বানিয়ে দাও। তোমার দয়া ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণ অসম্ভব মালিক!!