Home দেশআবরার হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পলায়ন নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

আবরার হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পলায়ন নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

by MD JUNAYED SHEIKH

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ/সংগৃহীত

আবরার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত মোট ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন কারাগারে আটক রয়েছেন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়ে যায় গত বছরের ৬ আগস্ট। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. ফরহাদ হোসন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি মুনতাসির আল জেমি (২৬) গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। পলাতক বন্দিদের মধ্যে ৮৭ জন ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার পর ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ মোট ৫১ জন পলাতক বন্দিকে গ্রেপ্তার করে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট বন্দিদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আবরার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত মোট ২২ জন বন্দির মধ্যে বর্তমানে ২১ জন কারাগারে আটক রয়েছেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন গত ৬ অগাস্ট ওই আসামি জেল থেকে পালিয়ে যান জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ এবং ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন। আবরারের বাবা বলেন, “আজকে শুনানির শেষ পর্যায়ে বিচারপতি জানতে চান, কোন কোন আসামির পক্ষে কোন কোন আইনজীবী আছেন। তখন সেখানেই জানানো হয় যে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুনতাসির আল জেমি পালিয়েছে।”

বরকত উল্লাহ জানান, গত ৬ অগাস্ট ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালালেও আজ প্রথম তিনি তা জানতে পারেন আদালতে মামলার শুনানির সময়।

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment