খুলনার হরি নদী থেকে জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) ডুমুরিয়ার ডুমুরিয়া-অভয়নগর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
জিয়া ডুমুরিয়া উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামের খবির উদ্দিন মোড়লের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ইরাকপ্রবাসী জিয়া এক বছর আগে বাড়িতে আসেন।
দুই মাস ধরে চাচাতো ভাই লিটন মোড়লের সঙ্গে মাছের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে মাছ কিনে তারা ভারতে পাঠাতেন তারা।
লিটন মোড়ল বলেন, বিদেশে গিয়েও টাকা-পয়সা রাখতে পারেননি জিয়া। স্ত্রীর কানের বালা বন্ধক রেখে ৫০ হাজার এবং সুদে আরো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দুজনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে আড়তে মাছের টাকা দিয়ে চলে আসার পর তার সঙ্গে জিয়ার দেখা হয়নি।
জিয়ার ১১ বছর বয়সী ছেলে রাতুল জানায়, চেঁচুড়ি বকুলতলা থেকে শুক্রবার ইফতার করে বাড়ি গিয়ে ভাত খান জিয়া। পরে একটি মোবাইল কল পেয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর আর তার বাবা ফিরে আসেননি।
শনিবার সকাল ১০টায় নদীতে জিয়ার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। দুপুরে পুলিশ গিয়ে ক্ষত-বিক্ষত লাশটি উদ্ধার করে। নিহত জিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আনাম (বি সার্কেল), ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানাসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওসি মাসুদ রানা বলেন, লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যার মোটিভ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।