Home ইসলামআত্মস্মৃতি । আমার মায়াস্নিগ্ধ দিনগুলো

আত্মস্মৃতি । আমার মায়াস্নিগ্ধ দিনগুলো

by MD JUNAYED SHEIKH
রমজানের মায়াস্নিগ্ধ দিনগুলো


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছয় বছরে ছয়টি রমজান মাস পেয়েছিলাম আমি। স্বাভাবিকভাবেই ক্যাম্পাসের সময় পর্বটি প্রত্যেকের জীবনেই অনন্যসাধারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয় বৈকি।

শেষ রোজার সময় অর্থাৎ গত বছর যাপিত রমজান ছিল খুবই স্মৃতিমেদুর। ক্যাম্পাসে আয়োজিত গণ ইফতারে ছাত্রলীগের বাগড়া দিয়ে আয়োজনকে ব্যাহত করা ছিল খুবই পীড়াদায়ক!

তবে হলের ইমাম সাহেব ও গেইটের প্রহরীরা ভালোবাসার খাতিরে তাদের ইফতারে আমাকে শরীক করার জন্য খুবই আগ্রহ দেখাতেন। এজন্য বাধ্য হয়ে মাঝেমধ্যে শরীক হতাম উনাদের সাথে। তবে টানা দু-তিন দিন হয়ে গেলে পীড়াপীড়ি করে হাদিয়া দিয়ে তারপর শরিক হতাম।

৩৫৪ নম্বর রুম ওরফে দীপশিখার অধিবাসী ইমন ভাই, সতীর্থ মাহমুদুল হাসান, ছোটভাই আতিকুল ইসলাম, ফরহাদ ও হিমেল প্রমুখকে নিয়ে একসাথে সাহরী রান্না ও খাবার খাওয়ার কথা আজও তাজা স্মৃতি।

তবে ক্যাম্পাস লাইফে রমজানের সবচেয়ে বড় সুখকর ও প্রশান্তির অনুভূতি ছিল তারাবির নামায। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা পশ্চিমপাড়াস্থ জামে মসজিদে গিয়ে তারাবিহর নামায আদায় করতাম। সেখানে নামায পড়ার মধ্যে কী যে এক টান আর আকর্ষণ কাজ করতো, তা বলে বোঝানো যাবে না!

সেখানে তারাবিহ পড়ার জন্য আমাদের হল থেকে সাত-আটজনের একটা সাইক্লিস্ট-টিমও গঠন করেছিলাম। আমরা যথাসময়েই হলগেইট থেকে সাইকেলে চড়ে চলে যেতাম সেই মসজিদে আবার তারাবিহ নামায শেষ করে ফিরতামও একসাথে।

ঢাকার উল্লেখযোগ্য মসজিদসহ অনেক জায়গাতেই তারাবীহর নামায পড়ার তাওফিক আমার হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসজীবনে হাফেয মাওলানা আসজাদ হুসাইন সিয়াম ভাইয়ের পেছনে একটানা বিশ রাকাত তারাবিহ পড়ার যে তন্ময়তা, মনোযোগ আর অনির্বচনীয় প্রশান্তি সেটা কেবলই অতীন্দ্রিয় অনুভবের ব্যাপার !

আহা! বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো রমজানের মায়াস্নিগ্ধ দিনগুলো আমার!

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment