ফিলিস্তিনের কান্না
রক্তে রাঙা শিশুরা কাঁদে,
ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি,
আকাশ জুড়ে ধোঁয়ার মেঘ,
মাটিতে বুলেট, আগুনঝড়ি।
মা হারালো সন্তানেরে,
বাবা খোঁজে কবর চেয়ে,
ভাঙা দেয়াল ফিসফিসিয়ে বলে,
স্বপ্নগুলো গেছে মেয়ে।
জিততে চায় শক্তিমান,
ধ্বংসের খেলায় মাতোয়ারা,
তবু সাহস হারায় না কেউ,
ফিলিস্তিনের প্রতিটা তারা।
পাথর হাতে শিশুর লড়াই,
সত্য কখনো মরে না,
রাত্রি শেষে ভোর আসবেই,
আকাশ কি আর থামে না?
ফিলিস্তিন একদিন হাসবে,
বাতাসে উঠবে মুক্তি গান,
নতুন ভোরের প্রতিশ্রুতি,
রবে চিরদিন অম্লান!
ফিলিস্তিনের কান্না: শিশুর আর্তনাদ
গতকালও রক্ত ঝরেছে ফিলিস্তিনের মাটিতে।
বুকচেরা কান্নায় কেঁপে উঠেছে গাজা,
শিশুরা হারিয়েছে তাদের ছোট্ট স্বপ্নগুলো,
হারিয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন, আশ্রয়ের শেষ ঠিকানাটুকু।
বোমার শব্দে ঘুম ভাঙে না, ঘুম হারিয়ে গেছে অনেক আগেই।
এক হাতে খেলনা, অন্য হাতে লেগে থাকা ধুলো,
ছোট্ট দেহে বুলেটের চিহ্ন,
নিরপরাধ চোখে একটাই প্রশ্ন— “কেন?”
পৃথিবী চুপ। সভ্যতা নির্বাক।
তাদের কান কি পায় না এই কান্নার শব্দ?
তাদের চোখ কি দেখে না ভাঙা ঘর, পোড়া শরীর?
তারা কি বোঝে না, এই শিশুরা যুদ্ধ চায়নি, শুধু একটু বাঁচতে চেয়েছিল?
তবু ফিলিস্তিনের শিশুরা ভাঙবে না,
তাদের চোখেই গড়ে উঠবে প্রতিরোধের আগুন।
তারা একদিন ইতিহাস লিখবে,
রক্তের দাগ মুছে, স্বাধীনতার রঙে!