তৃতীয় দিনের মতো নিজ এলাকায় মতবিনিময় ও জনসংযোগ করছেন সারজিস আলম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে হয়ে যারা এ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছি। এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি করতে ইচ্ছুক- আমরা সে জায়গা থেকে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি
একইসঙ্গে সারজিস বলেন, ‘প্রত্যেকটি গ্রাম-গঞ্জ, ইউনিয়নে এবং উপজেলায় নতুন এই দল এনসিপির পক্ষ থেকে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কারণ আমরা যারা জনপ্রতিনিধি হতে চাই। তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখলে আসল জিনিসটা বুঝতে পারব। মানুষ কীভাবে আছে বা তারা কী চায়।’
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩য় দিনের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর ধামোর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান সারজিস।
পথসভায় সারজিস আলম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে পুরো বাংলাদেশে আমরা যারা রয়েছি, তারা সব মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। সে বিষয়গুলো মাঠে গিয়ে তুলে ধরছি। কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রামেগঞ্জে আমার পার্টির নাম ও মার্কার নাম জানা দরকার। আমি কী কাজ করতে চাই। আমার মন-মানসিকতা কেমন। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি খালি নির্বাচনের সময় আছি, নাকি অন্য সময় আছি, না জনগণের দরকার তখন আসি। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও জনসংযোগ করছি। এভাবে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশবো মানুষের ব্যথা শুনব। সে অনুযায়ী কাজ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেড় হাজারের অধিক মানুষকে খুন করেছে। কারণ সে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। তাই বিগত ৩ বারের মতো টিকে থাকতে সেই বল প্রয়োগের চেষ্টা করে এই হাসিনা।’
এদিকে রাতে সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এ সংক্রান্ত ছবিসহ একটি পোস্ট করেছেন। আর তাতে লিখেছেন, নতুন এই পথ চলার বাঁকে বাঁকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করব। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলব। আমাদের এ যাত্রা অসীমের অন্তে। জাতীয় নাগরিক পার্টির বাংলাদেশকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো নিয়ে গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি বাড়ির দরজায় আমরা উপস্থিত হব শিগগিরই।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মাধ্যমে সরকারের কাছে জনগণের আজকের দাবি:
*সিন্ডিকেট করে চা’য়ের ন্যায্য মূল্য হতে চা চাষিদের বঞ্চিত করাকে বন্ধ করতে হবে। চা চাষিরা কতিপয় ব্যবসায়ীদের হাতে আর জিম্মি হয়ে থাকতে চায় না।
*গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় কাঁচা সড়কগুলো প্রায়োরিটির ভিত্তিতে দ্রুততম সময় পাকা করতে হবে।