জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদী বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরুব্বিয়ানা বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনে তিনি এ কথা বলেন।
শরিফ উসমান হাদী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরুব্বিয়ানা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় কেউ কারো অভিভাবক নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে পদায়িত হতেন, তাদের মন মতো প্রার্থীকে শিক্ষক বানানোর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইচ্ছে করে সিজিপিএ কম দেওয়া হতো। এমনও হয়েছে, যারা পরীক্ষায় ভালো করেছে, তাদেরকে থিসিসে ও মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছে করে লো-গ্রেড দেওয়া হতো। যেন তারা শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করতে না পারে।
তিনি বলেন, গতকাল এখানে অত্যন্ত একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা কথার জবাব কথাতেই দেব, শারীরিকভাবে নয়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আপনারা অত্যন্ত মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। গতকাল রাতে আমাদের বাবার মতো শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় পেটোয়াবাহিনী পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, সেজন্য কি সরকার দুঃখ প্রকাশ করেছে? সুতরাং একপাক্ষিক মহানুভবতা কিন্তু ভালো জিনিস নয়।
এ সময় তিনি জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু আপনারা নিজেদের মধ্যে কাউকে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবেন না। কাকরাইল মোড়ে চার মাস আগে আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অনশন করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ উনার একান্ত সচিব এসেছিলেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে।