তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ইউএসএআইডি’র বিকল্প হিসেবে ভিন্ন কিছু পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোটের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কলাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে শূন্যস্থান রেখে যাচ্ছে তা আমরা পুরোপুরি পূরণ করতে পারব না, তবে আমরা আমাদের অগ্রাধিকারগুলোর ওপর মনোনিবেশ করছি এবং আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করব।
ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয়ক (উন্নয়ন) কাউন্সিলের সভায় পৌঁছানোর পর বলেন তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন সাহায্য থেকে ইউএসএআইডি’র প্রত্যাহারের প্রভাব এবং আমরা (এ বিষয়ে) কোথায় পৌঁছাতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি প্রধান উল্লেখ করেন, এটি গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভূমিকা রাখবে। এটি মানবাধিকারের মতো অগ্রাধিকার হবে।
৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রশাসন ইউএসএআইডি’র কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অর্থায়নের জন্য প্রধান তহবিল ছিল এটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১০ মার্চ ঘোষণা করেন, সরকার ইউএসএআইডি’র ৮৩% কর্মসূচি কমিয়ে ফেলেছে।
এর পরিবর্তে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২.৯ বিলিয়ন ডলারের একটি আমেরিকা ফার্স্ট অপরচুনিটি ফান্ড (A1OF) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে। রুবিওর ভাষায়, এটি সংকটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাবে, ভারত ও জর্ডানের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ বজায় রাখবে, প্রয়োজনীয় প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এবং চীনের মতো নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের কৌশলগত হুমকি মোকাবেলা করবে।