সংগৃহীত ছবি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে ইসরায়েল। দখলদারদের বিভিন্ন শহরে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিস্ফোরণগুলো এতই ভয়াবহ যে গোটা শহর কেঁপে উঠছে। এমনই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন এক ইসরায়েলি।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সবকিছু কাঁপছিল’- তেলআবিবে ইরানের হামলার বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছে ইসরায়েলিরা।
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর ইসরায়েলি দমকলকর্মীরা তেলআবিবের একটি উঁচু ভবনে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করছে।
ভুক্তভোগী এক বাসিন্দা চেন গ্যাবিজন বলেন, তিনি সতর্কতা পাওয়ার পর একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থলে দৌড়ে যান। কয়েক মিনিট পরে আমরা একটি খুব বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম। সবকিছু কাঁপছিল। ধোঁয়া, ধুলো ছিল সর্বত্র। যথাসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না পারলে তারা কেউ বেঁচে থাকতেন না।
ইসরায়েলে হামলা নিয়ে ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলি বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলার সময়, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর প্রধান কমান্ডারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ বাহিদি বলেন, আইআরজিসি এরোস্পেস ডিভিশন কর্তৃক অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
বাহিদি বলেন, ইরান ফিলিস্তিনের অধিকৃত ভূখণ্ডে একাধিক ইসরায়েলি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইরানের হামলায় নেভাতিম ও ওভদা বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হয়। এই ঘাঁটিগুলোতেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সেন্টার অবস্থিত। ইরানে হামলার মূল ঘাঁটি হিসেবেও এই দুইটি ব্যবহৃত হয়েছিল। আরও যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল নফ বিমানঘাঁটি যা তেল আবিবের কাছাকাছি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, তেল আবিবের সামরিক ও শিল্প স্থাপনাসমূহ।
জেনারেল বাহিদি আরও বলেন, এই অভিযানের জন্য মোট ১৫০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা বহু ধাপে আঘাত হানা হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানকে হামলা করার মাধ্যমে ইসরায়েল মারাত্মক ভুল করেছে এবং এখন তাদের এই কাণ্ডের চরম মূল্য দিতে হবে।
সূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা