আমিনুল ইসলাম কাসেমী
আমার ছোট্ট জীবনে এই প্রথম দেখলাম ইসলামী দলগুলোর পরস্পর সম্প্রীতি। এর আগে কখনো এমনটি দেখা যায়নি। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কোনদিন ইসলামী দলগুলোকে এক ছাদের নিচে এভাবে দেখা যায় নি। এতদিন সকল ইসলামী দলগুলো নিজ নিজ গতিতে চলছিল। আর এই নিজ গতিতে চলতে গিয়ে পরস্পর বিরোধী ছিল সবসময়। আবার কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মত পার্থক্য ছিল। যে মত পার্থক্যের কারণে ভিন্ন ভিন্ন বলয় সৃষ্টি হয়েছিল ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে সেটাতে তেমন মজবুতি ছিলনা। একক ভাবে কেউ সামনে বাড়াবার শক্তি তেমন কেউ অর্জন করতে সক্ষম ছিলনা।
মহান আল্লাহর মেহেরবাণী। এবার দেখছি ইসলামী দলগুলোর পরস্পর প্রীতি। তাও আবার এমন প্রেম – প্রীতি যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি। তাছাড়া অকল্পনীয় ভাবে যেন ইসলামী দলগুলোর সেতুবন্ধন দেখা যাচ্ছে।
কেউ কী ভেবেছে? চরমোনাই আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক টেবিলে বসবে? কেউ কোনদিন ভাবতেও পারেনি। বর্তমান সেই দুটি দলের যে প্রীতি গড়ে উঠেছে, আসলে সেটা প্রশংসনীয়। তাছাড়া ওই দুটি দলই এখন ফেবারিট। জামাতে ইসলামী ও চরমোনাই এর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তথা দাঁড়ি পাল্লা ও হাত পাখা দুটো এখন বৃহৎ শক্তিতে রুপান্তির হয়েছে।
চরমোনাই এর পীরের হাতপাখা ও জামাতে ইসলামী এর দাঁড়িপাল্লা, সেই সাথে অন্যান্য ইসলামী দল তথা খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনসহ সকল ইসলামী দল এখন এক টেবিলে চলে এসেছে। সকলেই নির্বাচনী ঐক্যে এক প্লাটফর্ম গড়ে তুলছে।
এজন্য আশার আলো দেখাচ্ছে জাতিকে। ইসলামী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধতা, তাদের পরস্পর সম্প্রীতি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদুর ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ কবুল করুন। আমিন।
( শিক্ষক ও কলামিস্ট)