প্রাণের নবী
নবীর দরুদ পড়ার পরে
আমার লাগে ভালো,
মনের ভেতর আঁধার গুলো
ভাগায় সবি কালো।
সকাল দুপুর বিকেল সাঝে
রাতের বেলা পড়ি,
দয়াল নবীর সিরাত মেনে
জীবন মোরা গড়ি।
নবীর মায়ায় পাগল হয়ে
ধরার সবি কাঁদে,
হাতের আঙুল দেখার পরে
চিরল ধরে চাঁদে।
তায়েফ বাসীর আঘাত সয়ে
করেন নবী দোয়া,
তাহার পরশ পাথর সোনা
যখন লাগে ছোঁয়া।
দ্বীনের নবীর মুখের বাণী
জাহান জুড়ে আছে,
সালাম দিবেন সুযোগ পেলে
যাবেন তারি কাছে।
প্রার্থনা করি
শীতল পবন বহিছে ভুবনের কোনে কোনে
বজ্র ধ্বনির পূর্বাভাস দিয়েছে ক্ষনে ক্ষনে
মাঠে ফলেছে চক্ষুশীতল সোনালী ফসল
ঘরে ঘরে কন্ঠে কন্ঠে সুর যেন তারা সফল
দয়া কর করুনা কর ওহে রহিম রহমান
রিজিক তোমার দাও গো ওহে মেহেরবান
যাহা কিছু ভক্ষন করি সবি তোমার দান
রক্ষা কর মোদের তুমি অপার মহিয়ান
তোমার করুনা চাই শুধু তুমি করুনা কারী
সকল বিপদ আপদ অসুক যত মহামারী
তুমি মালিক তুমি খালিক তুমি সৃষ্টির সেরা
পৃথিবীর চারিদিকে তোমার করুনা ঘেরা
তোমার তাসবিহ জপে গাছ পাখি তরুলতা
যেদিকে তাকাই দেখি শুধু তোমার বিশালতা
খাল বিল নদী নালা সাগর ভরপুর তব পানি
পিপাসা মেটায় তা দিয়ে লাগে যার যতখানি
তুমি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু মোদের কর ক্ষমা
মোচন কর পাপ তার পরিবর্তে পূন্য কর জমা
জীবন দিয়েছ তুমি, তুমি জীবনের মালিক
মরন দিবা তুমি ,তুমি সেই মরনের মালিক
শক্তি দিও সদা সর্বদা মুখে জপি তোমার কালাম
জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিও,দিও জান্নাতের সালাম
শাস্তি দিওনা কভু সইতে পারবে না ক্ষুদ্র প্রান
পার করিও তুমি,যেদিন জমিন হবে তামার সমান
কবরের কথা
কে তুমি হায় মাটির উপর প্রভাবশালী রাজা
নামাজ ছাড়া কবর ঘরে এলে পাবে সাজা।
স্বাগত জানাবে তোমায় মুনকার নাকির ডেকে,
জিজ্ঞাসিবে প্রভু কে আর রাসুল চিনাও দেখে।
দেখাও তোমার আমল খুলে কেমন তরুতাজা।।
সঠিক জবাব দিলেই পাবে সু-সজ্জিত ভূমি
নয়তো মটির ক্রোধে রোষে চাপা পরবে তুমি।
আফসোসে জীবন তোমার হবে ভাজা ভাজা।।
পোকা মাকড় আসবে ছুটে তোমার দেহ খেতে,
সর্প এসে মারবে ছোঁবল দিবে না আর যেতে।
সেদিন তুমি বুঝবে ঠিকই জাহান্নামের সাজা।।
জাহান্নামের আগুন ঘরে নিত্য তুমি জ্বলবে,
সীমাহীন যন্ত্রনার মাঝে অনন্তকাল চলবে।
দুনিয়ার সুখ স্মরণে থাকবেনা আর মজা।
লেখকঃ ফাজিল (স্নাতক) কোটালীপাড়া আলিয়া মাদরাসা, গোপালগঞ্জ।