পাকিস্তানের পার্বত্য বুনিয়াদ জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও বৃষ্টিতে তার মা, ভাই, বোনসহ পরিবারের ২৪ জন সদস্য ও আত্মীয় ভেসে গেছেন।
মালয়েশিয়া প্রবাসী ২৫ বছর বয়সী নূর মোহাম্মদের জীবনের এই মর্মান্তিক কাহিনী তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নূর মোহাম্মদ মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত ১৫ আগস্ট তিনি ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামেন। ১৭ই আগস্ট তার বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে তখন উৎসবের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরে তিনি যা দেখেন, তা ছিল কেবলই ধ্বংসস্তূপ আর পাথরের স্তূপ।
ভেঙে পড়া বাড়ির সামনে বসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নূর মোহাম্মদ বলেন, “সবকিছু শেষ হয়ে গেল। ভয়াবহ বন্যা এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে-আমার বাড়ি, মা, বোন, ভাই, চাচা, দাদা এবং শিশুদের।”
তার দাদার তৈরি ৩৬ কক্ষের বিশাল বাড়িটিতে চাচার পরিবারসহ অনেকেই থাকতেন, যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। তিনি জানান, তার বাবা ও আরেক ভাই শুধু বেঁচে গেছেন কারণ তারা তাকে বিমানবন্দর থেকে আনার জন্য বের হয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক ভয়াবহ বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বুনিয়াদ জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ২৮ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ জেব বলেন, “আমরা বা আমাদের পূর্বপুরুষরা জীবনে কখনও এমন ঝড় দেখিনি। এটা একটা সুন্দর জায়গা ছিল, ঘরবাড়িতে ভরা। কিন্তু এখন বন্যা আর ঝড় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।”
এই ভয়াবহতার মাঝেও নূরের হবু স্ত্রী বেঁচে গেছেন, কারণ তার বাড়িটি বন্যার প্রকোপ থেকে কিছুটা দূরে ছিল।