৫০০ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখাতে সাকিব আল হাসানের দরকার ছিল এক উইকেট। সিপিএলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করে সাকিব ছুঁয়ে ফেলেন সেই মাইলফলক। পরবর্তীতে কাইল মায়ার্স ও নাভিন বিদাইসির আরও দুটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তাতে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৭ হাজার ৫০০ রান ও ৫০০ উইকেটের ডাবলের রেকর্ডটা শুধু এখন তারই। এমন কীর্তি গড়ে দারুণ খুশি সাকিব আল হাসান।
সাকিব বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের পঞ্চম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। সাকিবের আগে এমন কীর্তি আছে রশিদ খান, ডোয়াইন ব্রাভো, ইমরান তাহির ও সুনীল নারিনের। এমন মাইলফলকে নিজের নাম লেখাতে পেরে খুশি সাকিব,‘এটা অনেক পরিশ্রমের ফল। এরকম একটা মাইলফলক ছুঁতে পেরে আমি খুবই খুশি। লম্বা একটা ক্যারিয়ার, যা অর্জন করেছি সেটা নিয়ে আমি খুশি।’
অ্যান্টিগার হয়ে খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। নিয়মিত কোটার পুরোটা শেষ করার সুযোগ না পাওয়ায় সমালোচনা হচ্ছিল তাকে ঘিরে। সাকিব সেসব না ভেবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন, ‘আমি খুব বেশি বোলিং করিনি, একই সঙ্গে একটু নার্ভাসও। আরও বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় চারপাশে অনেক নেগেটিভ কথা হচ্ছে। সবকিছুই দলের জন্য। আমি যখনই সুযোগ পাই, অবদান রাখতে চাই। সবসময় আমার লক্ষ্য থাকে যেন দলের হয়ে অবদান রাখতে পারি।’
সিপিএলে সাকিব একা নেই। তার সঙ্গে আছে পরিবারও। পরিবার সঙ্গে থাকলে স্বস্তি অনুভব হয় বলে জানালেন এই অলরাউন্ডার, ‘দেখুন—বেশিরভাগ সময়ই পরিবার আমার সঙ্গে ভ্রমণ করে। তিনটা বাচ্চার জন্য কঠিন হয়ে গেছে, তাদের স্কুল আছে। এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে, এজন্য তারা আমার সঙ্গে আসতে পেরেছে। আপনার যখন একটু বয়স হয়ে যাবে, পরিবার সাথে থাকলে একটু স্বস্তি লাগে।