আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
সাধারণ মানুষের মাঝে দ্বীনের আলো না দিলে ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, কর্ম ও রাষ্ট্রীয় জীবনে দ্বীন পালন করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের টার্গেট হওয়া দরকার সমাজের শতভাগ মানুষকে দ্বীন দেওয়া।
বাংলাদেশের প্রতি ১.৮ কিলোমিটার অন্তর অন্তর এনজিওদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি ১.৮ কিলোমিটার পর পর তাদের কোনো শিক্ষালয় বা সেবাকেন্দ্র অথবা অফিস রয়েছে। যেগুলো দ্বারা তারা সমাজের মানুষকে কূটকৌশলের মাধ্যমে দ্বীন ঈমান হারা করে চলেছে। এই কাজ চলছে প্রতিটি ক্ষণ, সময় ও মূহুর্তে। অহর্নিশ চলছে তাদের কার্যক্রম।
দাঁড়ি রাখা আইনত নিষিদ্ধ শুধু পুলিশ বিভাগে নয়। বরং প্রতিটি সিভিল, ননসিভিল, প্রশাসন ও ফোর্স। এমনকি বিচারব্যবস্থাতেও আংশিক বা পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিমান পরিষেবায় কোনো পুরুষ দাঁড়ি রাখতে পারবে না, টুপি পড়তে পারবে না। মহিলারা হিজাব পড়তে পারবে না। এমনকি গোপনে কেউ নামাজ পড়লে প্রকাশ পাওয়ার পর তাকেও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয়। পাবলিক কিংবা প্রাইভেট, প্রায় প্রতিষ্ঠান এমনটি গার্মেন্টস সেক্টরেও একই পরিবেশ বিরাজমান।
দ্বীন পালনে বাধা দেওয়া বা দ্বীন পালন করতে পারবে না এই আইনগুলো মুসলমানের সন্তানরাই তৈরি করে। এদের বেড়ে ওঠা, লালিত পালিত হওয়া মুসলিম সমাজে। তাদের মা বাবাও মুসলমান। এরপরও কেন এমনটি করে তারা? কারণ একটিই যে জিনিসটা তাদের জানা নেই সেই জিনিসের কোনো দামও তাদের কাছে নেই। দরদও নেই। তাই এমনটি করা বা হওয়া তাদের নিকট একদম সহজ ও স্বাভাবিক বিষয়।
আমরা যারা দ্বীন পালন করি তারা দ্বীনকে নিজেদের মধ্যে সীমিত করে রেখেছি। সমাজের মানুষের মাঝে দ্বীন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব যেভাবে পালন করা দরকার সেভাবে আদায় হচ্ছে না।
দ্বীনি জ্ঞান লাভ করা ও দ্বীন মোতাবেক চলা প্রতিটি মানুষের জন্মসূত্রে প্রাপ্য মৌলিক অধিকার এবং আল্লাহ ও রাসূলের তরফ থেকে প্রাপ্ত আমানত। এই আমানত যথাযথ ভাবে তার হকদার তথা উম্মাহর শতভাগ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটা প্রতিজন মুসলমানের উপর ফরজে আইন।
এই দায়িত্ব আদায় করার লক্ষ্যে পূর্বসূরী ও বর্তমান মুরব্বিদের পরামর্শে দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের এই মেহনতে প্রতিটি মুসলমানকে শরীক হওয়ার আহ্বান করছি। বিশেষ করে উম্মাহর দায়িত্বশীল উলামায়ে কেরাম মূখ্য ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার প্রতি আবেদন করছি।
পরিচালকঃ মা’হাদুস ছাক্বাফাহ বাংলাদেশ