Home ইসলামঅস্তিত্ব সংকটে কওমি মাদ্রাসা

অস্তিত্ব সংকটে কওমি মাদ্রাসা

by .

গত সপ্তাহে ৩ জন মুহতামিম নূরানী শিক্ষক চেয়েছেন কিন্তু আমি নির্বাক।
এক সময় বেতনের অভাব ছিল কিন্তু সেটা কমে এসেছে।
একজন বললেন, আমি ভয়ে আছে আগামী ১০ বছর পর কি হবে।
আমি বললাম, এত পিছে গেলেন কেন?
আগামী ৩ বছর অপেক্ষা করেন।
নতুন ফারেগিনরা এখন আর মাদ্রাসায় পড়াতে চান না, স্বল্প বেতন, মূল্যায়নের অভাব( তাদের কল্পনায়), অবারিত স্বাধীনতা যখন যেভাবে মন চায় চলবেন মুহতামিম সাহেব কিছু বলতে পারবেন না।
ওদিকে মুহতামিম সাহেবরা একাধিক দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন; মাদ্রাসার সঙ্গে ব্যবসা,রাজনীতি সভা সেমিনার মাহফিল হজ্ব ব্যবসা সহ দুনিয়াবি অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন।
ছাত্ররা মোবাইলের স্বাধীনতা, খাবার অভিযোগ, ভার্সিটির মতো স্বাধীন জীবন ও টুকটাক রাজনীতি ও ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে জাতির আশার প্রদীপটা ধীরে ধীরে আলো হারাচ্ছে ধিকিধিকি জ্বলছে।
ত্রিমুখী সংঘর্ষে সমন্বয়হীনতার অভাব প্রকট হচ্ছে দিন দিন।
তবে মজার বিষয় হল, কেউ নিজের ভুল ধরতে পারছেন না,ধরা পড়ছে অন্যের ভুল।

প্রায় দুইশো বছর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা উপমহাদেশ চুষে খেয়েছে। কেউ যখন পারছিল না তখন দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা লাভ করে, ধীরে ধীরে পাততাড়ি গুটিয়ে ব্রিটিশরা উপমহাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। দারুল উলূম দেওবন্দের ইতিহাস ঐতিহ্য স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো।
এই ভাবধারায় উপমহাদেশ সহ সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত,পরিচালিত।
অগণিত মানুষ ইসলামের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত জীবনটাকে সুশোভিত করেছেন ইসলামের আলোয়।
অথচ সোনালি সেই ধারা বাংলাদেশে মৃতপ্রায়।

সমস্যা অনেকগুলো উল্লেখ করেছি।
এখন সচেতন মহল যদি কার্যকরী পদক্ষেপ না নেন তাহলে তাসের ঘরের মতো কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আমি যেহেতু ভিতরের মানুষ তাই এসব লেখা ফু দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া বিরাট অদূরদর্শিতার পরিচয় হবে।
বড়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment