Home দেশপরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকবর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে : চসিক মেয়র

পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকবর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে : চসিক মেয়র

by .

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকবর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করে করতে হবে। চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি সিটি হিসেবে গড়তে চাই। 

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চসিক সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি), দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আয়োজিত চট্টগ্রামে প্লাস্টিকস সার্কুলারিটি প্রকল্পের উদ্বোধনী সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

মেয়র শাহাদাত বলেন, এই সভার মাধ্যমে স্থানীয় অংশীদারদের নিয়ে সমন্বিত কার্যক্রমের সূচনা হলো, যার লক্ষ্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং পরিবেশে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রবাহ কমানো।

একই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীদের-বিশেষ করে নারী কর্মীদের জীবিকা ও কর্মপরিবেশ উন্নত করাও এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সর্দার এম. আসাদুজ্জামান বলেন, প্লাস্টিককে আর বর্জ্য হিসেবে দেখা যাবে না, বরং এতে রয়েছে সম্পদে রূপান্তরের সুযোগ। একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চট্টগ্রাম গড়তে সিটি করপোরেশন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ, স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে। এই প্রকল্প প্রমাণ করবে যে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্যকে অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তর করা সম্ভব।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য কর্ণফুলী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশে পরিবেশ, মাছের ভাণ্ডার এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে। এই প্রেক্ষাপটে প্লাস্টিকস সার্কুলারিটি প্রকল্প চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং টাঙ্গাইলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো ১৫ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত প্রায় ২ হাজার কর্মীকে সহায়তা প্রদান, যার মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নারী।

এই প্রকল্প গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা, কর্মশালা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক কার্যক্রম আয়োজন করবে।

সভায় সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত, নারীর অধিকার সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীদের সংগঠন এবং উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment