২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। এর মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং মা ও শিশুর মাসিক সহায়তা ভাতা ৫০ টাকা করে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মাসিক ভাতা ১০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য কমানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ জন্য এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং মাথাপিছু বরাদ্দ উভয়ই বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে সরকার।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আগামী অর্থবছর থেকে বেশ কিছু ভাতার হার বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি।’
আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের মাসিক ভাতা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া মাসিক ভাতার হার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকা করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে গত জানুয়ারি থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৫৭ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারকে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমেও পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।
আগামী অর্থবছর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ ছয় মাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এই কর্মসূচিতে বর্তমানে ৫০ লাখ পরিবার সহায়তা পায়। আরও ৫ লাখ পরিবারকে এর আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।