Home দেশসান্তাহার জংশন স্টেশনে চুরি-ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা বাড়ছে

সান্তাহার জংশন স্টেশনে চুরি-ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা বাড়ছে

by MD JUNAYED SHEIKH

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা বেড়েই চলছে। গত এক মাসে বিভিন্ন ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট, সোনার অলংকার ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে। একটি চক্র এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালালেও রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর রহস্যজনক নীরবতার কারণে এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা বাড়ছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় সীমান্ত এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

যাত্রীদের অভিযোগ এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা থেকে চিলাহাটি সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীদের চুরি যাওয়া দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ চোরকে আটক করা হয়। এরপর যাত্রীরাই আটক চোরকে থানায় সোপর্দ করেন। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ওই স্টেশনে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে উপজেলার কদমা গ্রামের আমেনা বিবি নামের এক গৃহবধূর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও একটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। এ ছাড়া গত ৫ মে বগুড়া থেকে আসা ট্রেন যাত্রী শাহিনা বেগম সান্তাহার স্টেশনে রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন ওঠার পর পকেটমাররা তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন চুরি এবং ওই দিনই নওগাঁর মহাদেবপুর থেকে আসা সালমা খানম নামের এক ট্রেন যাত্রীর ট্রলি ব্যাগ প্ল্যাটফরম থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি।

শুধু তাই নয়, গত ২৫ মে সান্তাহার থেকে ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার পথে এনামুল হক নামের এক যাত্রীর প্যান্টের পকেট কেটে নগদ টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেয় পকেটমাররা।

এ সব ঘটনায় থানায় মামলা বা অভিযোগের সংখ্যা কম হলেও প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা কিন্তু কম নয়। থানায় বলে কোনো লাভ হবে না এমন ধারনা থেকে অনেকেই পুলিশকে অবগত বা মামলা, অভিযোগ করেন না।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘স্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

আর চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার রোধে পুলিশ সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গত তিন মাসে মাত্র তিনটি চুরি-ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মৌখিকভাবে কিছু মোবাইল চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা পরে আর আসে না।’

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment