দেশে এখন কারো মাঝেই ভালোবাসা মুহাব্বত সহমর্মিতা আন্তরিকতা নেই।
দেখা তো দূরে কেউ কারো ছায়া মাড়াতে নারাজ।
অথচ এটা মুসলিম প্রধান দেশ,বয়ান জানে সবাই, অধিকাংশের মুখে দাড়ি৷, শুক্রবারে মাথায় টুপি কিন্তু মারামারি হানাহানি কাটাকাটি গীবত শেকায়েত অপবাদ হেনস্তা, কটাক্ষ নিন্দা যেন এ মাটির পরতে পরতে লুকিয়ে।
কেউ কাউকে সহ্য করার মতো নূন্যতম ভদ্রতা সম্মানের অবস্থানে নেই।
যখন যে মাইক পায় সেই অপর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগায়। চীর শত্রু শয়তানের সাথে ও যদি প্রতিপক্ষের তুলনায় একশো ভাগের একভাগ শত্রুতা প্রকাশ করতো তাহলেও বোধহয় শয়তান কিছুটা দম খেত।
আজকাল তো আরো ভয়াবহ অবস্থা, একজন আরেকজনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে, সুযোগ পেয়ে মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম ও অবর্ণনীয় হয়রানি করা হচ্ছে দিনশেষে সবাই কিন্তু মুসলমান!
কিন্তু কেন এমন হল? আমার একান্ত চিন্তা মতামত হচ্ছে এর ৭০ ভাগ দোষ সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়ার,
২০ ভাগ রাজনীতিবিদদের আর ১০ ভাগ বিদেশে বসে থাকা ইউটিউবারদের।
সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়ার দরকার ভিউ,লাইক,কমেন্ট শেয়ার; এটা এমন এক মহামারি নেশা যা প্রচলিত সব ধরনের নেশাকে অতিক্রম করেছে এজন্য উগ্র,উত্তেজনামূলক সব রকম নিউজ এরা দেদারসে পাবলিশ করে কিন্তু এটার কি প্রতিক্রিয়া সমাজে হবে এটা ভাববার চিন্তাভাবনার মতো সময় তাদের হাতে নেই।
রাজনীতিবিদদের দরকার ক্ষমতা,নেতাদের সুদৃষ্টি কর্মীদের সামনে হিরোগিরি সুতরাং যে যেভাবে পারছে কাঁচা বয়ান করছে,স্লোগান দিচ্ছে অপরিনামদর্শী, বিভেদ উস্কে দিচ্ছে, বিপক্ষ নেতার মান্যগন্যতা,যোগ্যতা,শিক্ষা, সামাজিক মূল্যায়ন, অবস্থান এসব কিছু পাতিনেতাদের কাছে গৌণ হচ্ছে।
এদিকে মিডিয়া তো এসব বয়ান খুঁজছে পাওয়া মাত্রই ছড়িয়ে দেয় সোশ্যালমিডিয়ায়
লেগে গেল আগুন।
আর সর্বশেষ স্তর হচ্ছে বিদেশে পলাতক ইউটিউবার যারা দেশে ছিল বিলাই কিন্তু বিদেশ গিয়ে হয়েছে বাঘ।
কাফের রাস্ট্রের কোলে বসে ওরা বাংলাদেশকে হালুম গর্জন শুনায়। শেখ হাসিনা তো চলে গেছে তারপরও এরা দেশে আসে না কেন?
কারণ তাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী।
বাংলাদেশকে চূড়ান্ত গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়ে তারা হাততালি দিবে।
ওরে একেকটা হিটলার মুসোলিনির প্রেতাত্মা।
মুখে মধু অন্তরে বিষ, শুধু আওয়ামিলীগ নয় বরং গোটা বাংলাদেশকেই ওরা জয় বাংলা করতে চায়।
সুতরাং এই দেশে যে গৃহযুদ্ধের আবহ চলছে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে যদি উপরের তিন শ্রেণিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই নিয়ন্ত্রণ কে করবে?
যার ভিতরে এই দেশ ও জনগণের প্রতি ভালোবাসা আছে।
অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কোন গতি নেই।
সম্পাদকঃ এম.জে.এফ নিউজ