মুহাম্মাদ আইয়ুব
আল্লাহর পাকের অনেক পছন্দের একটি আমল হচ্ছে, বান্দা যেন নেয়ামত পেয়ে তার প্রভুর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে এবং তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে। এই আমলে আল্লাহ পাক ভীষণ খুশী উপরন্তু তাঁর নেয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দেন। উক্ত আয়াতের উপর আমাদের বেশি বেশি আমল হওয়া দরকার।
১.
বাইকে করে একবার আমি আর রেজাউল চাচা ফরিদপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম । নতুন নতুন বাইক চালাচ্ছি, জোশ জজবা একটু বেশি ছিল। সামনে থাকা মিনি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে আচমকা থমকে গেলাম। সাই সাই করে এ্যম্বুলেন্স একটা চলে গেল এক ইঞ্চি পাশ দিয়ে।
কত বড় বিপদ থেকে বেঁচেছি , পরমুহূর্তে টের পেলাম। এই যাত্রায় মৃত্যু আমাদের আলিঙ্গন করেও করল না। মৃত্যু মানুষের কত নিকট দিয়ে ঘোরে , বারবার সেটিই ভাবছিলাম।
বাকি পথ গভীর ভাবনায় ডুবে রইলাম, হায় , কি হয়ে যাচ্ছিল আজ। বুকের ধুকপুকানি সাইরেন বাজিয়ে চলল। কি বাঁচা বাঁচলাম ! অবিরাম শুকুর আদায় করে গেলাম মহান আল্লাহর।
২.
আরেকটি ঘটনা মনে পড়ে গেল।
সেদিন রাতে টেকেরহাট থেকে গোপালগঞ্জে ফিরছি। ঘড়ির কাটায় রাত ১১ টা। সারাটা পথ নিঝুম নিস্তব্ধ। মাঝে মাঝে দুয়েকটা ট্রাক বিশাল দেহ নিয়ে নিঃশব্দে চলে যাচ্ছে পাশ দিয়ে।
এই সময় মোটরসাইকেল চালানো রিস্কি। খুব সতর্কতায় বাইক চালাচ্ছি। গাড়ির গতি ৬৫/৭০।
ধান কাটার মৌসুম। গ্রামের লোকজন খড়ের গাদা রাস্তার পাশ জুড়ে ফেলে রেখেছে। দেখেশুনে সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হচ্ছে। এদিক সেদিক হলেই বিপদ।
আচমকা অন্ধকারে ৭০ বেগের বাইক খড়ের গাদায় উঠিয়ে দিলাম, আর যাই কোথায়?
১০ সেকেন্ডের মতো বাইক আমাকে সমানতালে নাচাল।
একমনে আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে মুখ সচল রাখলাম। আল্লাহ পাক এ যাত্রায় ও আমাকে বাঁচিয়ে দিলেন। দয়াময় রবের করুণায় নিশ্চিত দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলাম ।
এভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বিপদ থেকে আল্লাহ পাক আমাদের বাঁচিয়ে দিচ্ছেন। শুকরিয়া আদায় করি। মনের অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।