Home আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচার চিরতরে দূর করার আহ্বান চীনের

ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচার চিরতরে দূর করার আহ্বান চীনের

by MD JUNAYED SHEIKH

জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলা ঐতিহাসিক অবিচার ‘চিরকালের জন্য’ দূর করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। এ জন্য দেশটি ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

৭৭ বছর আগে নাকবায় ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করার কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে ঐতিহাসিক অবিচার চলছে, তা কেবল অমীমাংসিতই রয়ে যায়নি, বরং আরও খারাপ হয়েছে।

জাতিসংঘে চীনের মিশনের এক বিবৃতি অনুসারে, গেং শুয়াং বলেন, গাজার ওপর ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান অবরোধের ফলে জোরপূর্বক স্থানান্তরের হুমকির সম্মুখীন দুই মিলিয়ন মানুষের জন্য এক অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের ক্রমাগত সম্প্রসারণ এবং বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্থানকে নিরলসভাবে সংকুচিত করে তুলেছে এবং দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিকে ক্ষয় করে দিয়েছে।

২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজা সীমান্তে খাদ্য, চিকিৎসা এবং মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর পথ বন্ধ করে রেখেছে। এর ফলে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় প্রায় ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইসরায়েলকে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী ব্যবস্থা ও পরামর্শমূলক মতামত মেনে চলার এবং অবিলম্বে সমস্ত আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করেই গেং বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের (ইসরায়েল) ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তারকারী একটি প্রধান শক্তির উচিত একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান বজায় রাখা এবং গাজায় লড়াই শান্ত করার জন্য ও পশ্চিম তীরে উত্তেজনা কমানোর জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া।

১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ণ সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন গেং শুয়াং, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। তিনি বলেন, ‘চীন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের জন্য এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রশ্নের একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান বাস্তবায়নের জন্য সকল শান্তিপ্রিয় দেশের সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবে, যাতে ‘নাকবা দিবস’ চিরকাল অতীতে থেকে যায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল সৃষ্টির পর ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার পর বিশ্বজুড়ে ১৫ মে তারিখটিকে ‘নাকবা’ হিসেবে পালন করা হয়।

শেয়ার করুন:

Related Articles

Leave a Comment